সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সকাল ৪:৭ সময়
দালালচক্রের খপ্পরে রোগী বাণিজ্য: ৬ জনকে কারাদণ্ড, জরিমানা ৮ লাখ ।
নিজেস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও ও শ্যমলীতে গড়ে ওঠা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কম টাকায় উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে মানহীন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তির নামে ভোগান্তি ও অপচিকিৎসার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে শ্যামলীর সেবিকা হাসপাতালের এক ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড ও কর্তৃপক্ষকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ছয় দালালকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) এ অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া আরেক কর্মকর্তা র্যাব-২ এর পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী ব্রেকিংনিউজকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাজধানীর আগারগাঁও ও শ্যমলী কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা পঙ্গু হাসপাতাল, শিশু হাসপাতালসহ ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের এসব হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা হয় না, চিকিৎসক থাকেন না, ভর্তি হওয়া রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেখানে মারা যায় এমন কথা বলে আতঙ্কিত করে একটি চক্র। পরে তারা মানহীন প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করে এসব রোগীদের। সেসব হাসপাতালে ভোগান্তি ও অদক্ষ চিকিৎসকের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন রোগীরা। অনেকে পঙ্গুও হয়ে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, এমন পরিস্থিতিতে সোমবার রাত ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আগারগাঁও ও শ্যমলী কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালানো হয়। সে সময় অসঙ্গতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর শামলীস্থ সেবিকা হাসপাতালের পরিচালক ও অপারেশন থিয়েটার ইনচার্জ ভুয়া চিকিৎসক মো. সাইফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা, হাসপাতালের মালিক এম এম শাখাওয়াত হোসেনকে ৪ লাখ টাকা এবং ব্যবস্থাপক মো. মহিবুল্লাহকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া পঙ্গু হাসপাতালের সামনে থেকে আটক করা হয় দালাল চক্রের সদস্য মো. রেজাউল করিম (৩০), মো. মানিক মিয়া (৩৮), মো. বিল্লাল হোসেন (৫০), মোছা. কল্পনা আক্তার (৪০), মোছা. মর্জিনা বেগম (৩৫) ও মোছা. আজিরন বেগমকে (৪২)। এদের প্রত্যেককে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ফারুকী বলেন, দালাল চক্রের প্রায় ৫০০ সদস্য হাসপাতালগুলো ঘিরে দালালি করে থাকে। রোগীদের নিয়ে যেতে পারলে পাঁচ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত পান তারা।